হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা কি কি

আমরা অনেকেই শারীরিক ভাবে একটু দূর্বল বা বাড়তি অনেক ওজন কমাতে হানি নাটস খেয়ে থাকি। হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হয়ত আমাদের সঠিক ভাবে অবগত নয়। আজকের আর্টিকেল তে জানব হানি নাটস কি , হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা , হানি নাটস বানানর পদ্ধতি। তো আসুন জেনে নেয়া যাক হানি নাটস এর উপকারিতা সম্পর্কে।
হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা কি কি

অর্থাৎ হানি নাটস নিয়ে সকল তথ্যগুলোই মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন, তাহলে চলুন আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।মধুময় বাদামের উপকারিতা নিয়ে।

ভুমিকা

হানি নাটস আমাদের কেন খাওয়া উচিত ? অনলাইনের ব্যবসায়ীদের  ভাষার সত্যতা কতটুকু? এ সম্পর্কে পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাদামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বাদামে থাকে ওমেগা–৩ , চর্বি ও হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া বাদামে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন , আয়রন ও ক্যালসিয়াম আছে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং দৈহিক গঠন সুন্দর করে।

এ ছাড়া বাদাম ,,হাড় শক্ত কর, রক্ত বাড়ায় , স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও মানসিক চাপও কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য হানি নাটস দারুণ উপকারী। গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হানি নাটস।

হানি নাটস কি

হানি নাটসে সাধারণত থাকে পেস্তাবাদাম, কাজুবাদাম, কিশমিশ , কাঠবাদাম, চিনাবাদাম,  অ্যাপ্রিকট,  আখরোট, মাবরুম খেজুর, আজওয়া খেজুর ইত্যাদি থাকে।মধুময় মিক্সড ড্রাই নাটস ও সিডস ১০ মাস বাচ্চাদের ও সব বয়সীদের জন্য, গর্ভবতী নারীদের জন্য এই খাবারটি দারুন উপকারী। হানি নাটস এ থাকা ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এছাড়াও নিয়মিত বাদাম ও বীজ খেলে হার্ট ভালো থাকে।

হানি নাটস এর মূল উপাদান কি কি

মধুর সাথে অনেক রকম বাদাম এর মিশ্রণ হয়ে মধুময় বাদাম বা হানি নাটস তৈরি করা হয়। তো আসুন জেনে নেই হানি নাটস এর মধ্যে কি কি উপাদান থাকে। যেমন

  • কাজু বাদামঃ কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়। আর এটা পূরণ করতে সাহায্য করে কাজু বাদাম। কাজু বাদাম মাংসপেশী ও স্নায়ুর সঠিক কাজ ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • পেস্তাবাদামঃ পেস্তাবাদাম খোসাবিহীন এক আউন্স পেস্তা বাদামে ৭.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৫৯ ক্যালরি, ৫.৭২ গ্রাম প্রোটিন, ১২.৮ গ্রাম ফ্যাট,২ গ্রাম সুগার ও ৩ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। অন্যদিকে খোসাসহ এক আউন্স পেস্তা বাদামে ৮৫ ক্যালরি, ৭ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম প্রোটিন, ৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম ফাইবার ও ০.৫ গ্রাম সুগার থাকে। এই ধরনের বাদামে থাকে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন। পেস্তাবাদাম পরিমান মত খেলে লিভার ও কিডনি ভালো থাকে।
  • কাঠ বাদামঃ কাঠ বাদাম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারি। আলমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর ক্ষয় কমায়।
  • কিসমিসঃ কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে,যা শরীরে নতুন নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়া আপনার লিভার বা যকৃত পরিষ্কার করতেও এর কোনো জুড়ি নেই। এ ছাড়া কিশমিশে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসও অনেক থাকে যেগুলা শরীর এর জন্য অনেক উপকারি
  • এপ্রিকটঃ এপ্রিকট এমন একটি ফল যা কাঁচা ও শুকনো দুই রূপেই খাওয়া যায়। এই ফলটিতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন-এ,ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই– ভরপুর থাকে। গর্ভাবস্থায় এপ্রিকট খাওয়া আপনার ও আপনার শিশুর পক্ষে অনেক ভাল।।গর্ভাবস্থায় এপ্রিকট খাওয়া অনেক উপকারি। আপনি নির্দিধায় দিনে ১ থেকে ২টি দানা খেতে পারেন।
  • ত্বীন ফলঃ ত্বীন ফলে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, কপার, আইরন ইত্যাদি বিদ্যমান থাকে।বাড়তি ওজন কমাতে এবং ফিট থাকতে চাইলে ত্বীন সবচেয়ে কার্যকরি ফল। আর এন্টিঅক্সিডেন্ট-এর ক্ষেত্রে তীনের চেয়ে ভালো ফল আর হয়না বললেই চলে।প্রোস্টেট এবং জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিরোধক হচ্ছে ত্বীন ফল। মায়ের বুকে দুধ উৎপাদনে ত্বীন ফলের কোনো তুলনা হয়না। । গরুর দুধে এলার্জি থাকলে ত্বীন ফল খান তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।পাইলসে ভোগা ব্যক্তিরা অসাধারণ ঔষধ হিসাবে তীন খেতে পারে।
  • আখরোট বাদামঃ আখরোট বাদাম হলো  আন্টিঅক্সিডেন্ট ,ফাইবার ,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ  খাবার । আমরা অনেক ধরনের বাদাম খেয়ে থাকলেও আমাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী বাদাম হলো ‘আখরোট বাদাম ’।এই ফল স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ উপকারি ফল। বয়স্ক মানুষদের  ভুলে যাওয়ার রোগ থাকলে ঔষুধপত্রের সঙ্গে আখরোটও খেতে দিতে পারেন। এল-কারনাইটিন ও রাইবোফ্লোভিন থাকার কারণে মস্তিষ্কে স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃধি করতে সাহায্য করে আখরোট। প্রতি দিন যদি অন্তত ৭৫ গ্রাম করে আখরোট খাওয়া যায় তবে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কমে কারণ আখরোট বাড়িয়ে দেবে স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা।
  • তরমুজ বীজঃ তরমুজের বীজে রয়েছে শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, খাদ্যআশঁসহ গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনস্ ও মিনারেলস্। আরো রয়েছে যেমন: আয়রন,ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংক, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-বি৬ ইত্যাদি। তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো হার্ট সুস্থ রাখে, পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে,জন্ডিস সারায়। প্রস্রাব ও কিডনির সমস্যা সমাধানে অনেক উপকারী হিসাবে এটি কাজ করে।
  • চীনা বাদামঃ চীনা বাদাম আকারে দেখতে অনেক ছোট হলেও সকল প্রকার খাদ্যের গুণাগুণ এতে থাকে। যেমন- লিউটিন, জিজ্যানথিনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ,ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট ।অনেক গবেষণায় জানা গেছে প্রতিদিন নিয়মিত কেউ যদি এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করে তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ করে যা এই শরীরকে চাঙ্গা তো করে রাখেই , সেই সঙ্গে একাধিক রোগ থেকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে চীনা বাদাম।চীনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা:ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়,ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকে,পুষ্টির ঘাটতি দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়,খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়,ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে,ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, কোষের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
  • খুরমা চূর্ণঃ খুরমা অতি মিষ্টিজাতীয় একটি ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ এবং প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে  যেমন আয়রন  ভিটামিন-বি,ও ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-কে এবং প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম , পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও  অ্যামিনো অ্যাসিড ইত্যাদি রয়েছে।খুরমা চূর্ণ শারীরিক শক্তিবৃদ্ধি, মনের প্রফুল্লতা , অরুচি, দৃষ্টিশক্তি ,হজমকারক,কোলেস্টোরল, রোগ প্রতিরোধক, রক্তশূণ্যতা এগুলা থেকে বিরত রাখে । খুরমা সেবনে যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখেতে সাহায্য করে এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে ও ঘনত্ব বাড়ায়।

হানি নাটস খাওয়ার নিয়ম কি

হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা থাকার পাশাপাশি হানি নাটস খাওয়ার সাধারণ কিছু  নিয়মও থাকে। কারণ আপনি যদি কোন জিনিস সঠিক নিয়মে খেতে পারেন তাহলে এতে করে অনেক বেশি উপকারিতা পাবেন। নিয়ম মত না খাইলে উপকার এর চেয়ে অপকার বেশি হবে। তাই আপনার জানা প্রয়োজন হানি নাটস খাওয়ার নিয়ম আপনি যদি মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম জেনে থাকেন এবং সঠিক নিয়ম মেনে খান তাহলে এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হবে।

হানি নাটস খাওয়ার নিয়ম হল প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে দুই থেকে তিন চামচ হানি নাটস খাবেন তাহলে এতে করে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাবেন। আবার আরেকটি সময় হানি নাটস খেতে পারেন সেটা হল সারাদিন কাজকর্ম করে যখন আপনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমাতে যান তখন আপনি এক থেকে দুই চামচ হানি নাটস খেয়ে শুয়ে পড়বেন এতে  আপনার সারাদিন এর ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও সময় জানতে পারলেন।

হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা কি

স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য হানি নাটস এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। খাঁটি মধু বাদাম এবং আরও বিভিন্ন রকম ফল এবং উপকরণ একসাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে মধুময় বাদাম। এই হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। ্তো জেনে নেই হানি নাটস খাওয়ার পর কি কি উপকার পাওয়া যায়। যেমন

  • যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ যেসব পুরুষ যৌন শক্তির থেকে অনেকটা দুর্বল তাদের জন্য হানি নাটস অনেক উপকারী । তাই যাদের সমস্যা রয়েছে তারা যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে নিয়মিত পরিমাণ মত হানি নাটস খেতে পারেন।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ যাদের বয়স একটু বেশি তারা অনেক সময় ডায়াবেটিস এর মত রোগে ভুগে থাকেন আর তাদের জন্য হানি নাটস অনেক উপকারি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হানি নাটস খেতে পারেন ।
  • হৃদরোগ থেকে মুক্ত রাখেঃ হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতার ভেতর আরেকটি হলো হৃদরোগ থেকে মুক্ত রাখে। যাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারা নিয়মিত হানি নাটস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন ।
  • ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ দূর করেঃ ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ দূর করতে হানি নাটস এর তুলনা হয়না । আমরা প্রতিদিন অনেক রকম কাজ করে অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আর এই ক্লান্তি এবং মানসিক অবসাদ দূর করতে হানি নাটস খাওয়া উচিত।
  • গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি বৃদ্ধি করেঃ যখন কোন নারী গর্ভধারণ করে তখন তার অনেক পুষ্টির অভাব দেখা দিয়ে থাকে আর সে সময় পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খাবার প্রয়োজন পড়ে। গর্ভবতী নারীদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত হানি নাটস খেতে হবে । এতে করে মা এবং শিশু দুজনেই সুস্থ থাকবে।

হানি নাটস খাওয়ার অপকারিতা কি

আমরা জানি হানি নাটস সব সময় আমাদের শরীরের উন্নতি করে। হানি নাটস আমাদের উপকারি হিসাবে কাজ করে। তবে যাদের প্রেসার আছে তারা যদি একটু বেশির পরিমাণে হানি নাটস খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই পরিমাণ মত হানি নাটস খেতে হবে। পরিমাণ মত খেলে আমাদের শরীর এর উপকার অনেক বেশি হবে।

মন্তব্য

হানি নাটস খাওয়ার উপকারিতা, হানি নাটস খাওয়ার নিয়ম, হানি নাটস তৈরির উপাদান, হানি নাটস খাওয়ার সময় এ সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তারপরেও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url