রাতে ঘুমানোর দোয়া ও দোয়া পাঠ করার ফজিলত

ঘুম আমাদের দেহের প্রশান্তি নিয়ে আসে এবং শরীরকে সতেজ ফুরফুরে করে তোলে। ঘুমানো একটি ইবাদত যখন আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নাত অনুযায়ী ঘুমাবেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমানোর আগে কিছু দোয়া পাঠ করতেন। প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমানোর দোয়া ও ফজিলত সম্পর্কে।
রাতে  ঘুমানোর দোয়া ও দোয়া পাঠ করার ফজিলত

এছাড়া এই আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছে ঘুম না এলে যে দোয়াটি পড়বেন, ঘুমানোর আগে যা যা করবেন এবং ঘুম থেকে উঠার পরের দোয়া সম্পর্কে। এই সকল তথ্য সম্পর্কে সম্পন্ন জ্ঞান নিতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ঘুম না এলে যে দোয়াটি পড়বেন

আমাদের মাঝে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়। তারা অনেকে রাতে ঘুমানোর জন্য বিভিন্ন রকম ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু না আমরা যদি ইসলামী শরীয়তের কিছু নিয়ম মেনে বা কিছু দোয়া পাঠ করে ঘুমায় তাহলে আমাদের শান্তির একটা ঘুম হবে। তো প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘুম না হলে যে দোয়াটি পড়বেন।

আরবি :

اَللّٰهُمَّ غَارَتِ النُّجُوْمُ، وَهَدَأَتِ الْعُيُوْنُ، وَأَنْتَ حَيٌّ قَيُّوْمٌ، لاَ تَأْخُذُكَ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ أَهْدِئْ لَيْلِيْ، وَأَنِمْ عَيْنِيْ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা গা-রাতিন নুজুম, ওয়া হাদাআতিল উ’য়ুন, ওয়া আনতা ‘হাইয়ুন ক্বাইয়ুম, লা তাঅ্খুযুকা সিনাতুউ ওয়ালা নাওম, ইয়া ‘হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ুম, আহদিঅ্ লাইলী ওয়া আনিম ‘আইনি।


অর্থ : হে আল্লাহ! তারকারাজি নিভে গেছে; (মানুষের) চোখগুলো (ঘুমে) শান্ত হয়ে গেছে; আর আপনি তো চিরঞ্জীব-চিরস্থায়ী—তন্দ্রা ও নিদ্রা যাকে স্পর্শ করতে পারে না। হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমার রাতকে শান্তিময় করুন এবং আমার চোখে ঘুম দিন। [যায়েদ (রা.) বলেন আমি এটি বললাম এবং মহামহিম আল্লাহ আমার সমস্যা দূর করে দিলেন। (বুসিরি, ইতহাফুল খিয়ারাহ: ৬/৪৬২; হাদিসটি দুর্বল, তবে আমলযোগ্য]

রাতে ঘুমানোর দোয়া ও ফজিলত

সারাদিনের ক্লান্তি শেষে মানুষ রাতে বিভোর ঘুমে ঘুমিয়ে পড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূর কারি। (সুরা আন-নাবা; আয়াত -৯) ঘুম মানুষের শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম এবং শরীরের স্বস্তি এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। দুনিয়ায় ঘুমের বিকল্প কোন শান্তি হতে পারে না। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) বিছানায় শোয়ার আগে বিছানাটা ছেড়ে নিতেন, তারপর তিনি ডান কাথ হয়ে শুয়ে পড়তেন। তারপরে এই দোয়াটি পাঠ করতেনঃ

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আস্লামতু নাফ্সী ইলাইকা ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহী ইলাইকা ওয়া ফাউওয়ায্তু আমরী ইলাইকা ওয়ালজা’তু যাহরী ইলাইকা রাগ্বাতা ওয়া রাহবাতান ইলাইকা লা মালজা’আ মিনকা ওয়া লা মানজা’আ মিনকা ইল্লা ইলাইকা আ-মানতু বিকাতা-বিকা। আল্লাজি আনঝালতা ওয়া বি নাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালাত।

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমি নিজেকে তোমাতে সমর্পণ করলাম, তোমার দিকে মুখ ফিরালাম, আমার কাজ তোমার প্রতি ন্যস্ত করলাম এবং তোমার প্রতি ভয় ও আগ্রহ নিয়ে তোমার আশ্রয় গ্রহণ করলাম। তুমি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। তোমার প্রেরিত কুরআনের প্রতি ঈমান আনলাম এবং তোমার প্রেরিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ঈমান আনলাম। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

ফজিলতঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন, হে অমুক, যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে তখন নামাজের ন্যয় অযু করবে। তারপর তোমার ডান পার্শ্বের ওপরে শুবে এবং উক্ত দোয়া পড়বে। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি তুমি সেই রাতে মৃত্যু বরণ কর, তবে তুমি ইসলামের ওপর মৃত্যু বরণ করবে আর যদি তুমি ভোরে ওঠ, তবে তুমি কল্যাণের সঙ্গে ওঠবে।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে নিন্দা গ্রহণ করতেন তখন এই দোয়াটি পাঠ করতেন

আরবিঃ اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।


অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’

এছাড়াও, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবার সময় তার ডান হাত তার গালের নিচে রেখে এই দোয়াটি পাঠ করতেন।

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ক্বিনী আ’যা-বাকা ইয়াওমা তাব’আছু ই’বা-দাকা।

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার আযাব হতে রক্ষা কর, যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে কবর হতে ওঠাবে। (জামে আত-তিরমিজি)

প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই সকল দোয়া ঘুমানোর আগে প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য প্রত্যেকটি রাতে ফজিলতপূর্ণ রাত হবে এবং আপনার ঘুমও ভালো হবে।

ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া

রাত্রে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যেমন আমরা ঘুমিয়ে থাকি। তেমনি সকাল হলে আমাদের ঘুম থেকে উঠে সবার গন্তব্যে সবাইকে পৌঁছানো লাগে। আমরা আমাদের শান্তির ঘুমের জন্য বিভিন্ন দোয়া পাঠ করে থাকি। তেমনি ঘুম থেকে ওঠার পরও কিছু দোয়া রয়েছে যেগুলো আমাদের দিনকে সুন্দর করতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া।

ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া হলোঃ

আরবিঃ الحمدُ لله الذي أحيَانَا بَعْدَ مَا أماتَنَا وإليه النُّشُوْر

উচ্চারণঃ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’

অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত করার পর পুনরায় জীবিত করেছেন। আর তার দিকেই সবার পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)


আল্লাহ তাআলা বলেন , "তোমাদের ঘুম কে করেছি ক্লান্তি দূরকার এবং রাত্রিকে করেছি আবরণ। আর দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়"। (সুরা আন-নাবা; আয়াত -৯, ১০ ও ১১)

ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের সকলেরই উচিত আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা। হযরত হুযাইফা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তিনি জাগ্রত হতেন তখন বলতেন, সমস্ত প্রশংসাই আল্লাহর জন্য। যিনি আমাদেরকে মারার পর জীবিত করেছেন। আর তাঁর দিকেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। (সহিহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীন-৮১৭)।

রাতে ঘুমানোর আগে যা যা করবেন

মুমিন ব্যক্তিরা প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহতালার ইবাদত-বন্দেগীতে জড়িত থাকে। তেমনি ঘুম তার ব্যতিক্রম নয়। ঘুমের জন্য ইসলামের কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। আপনি যদি এই সকল নিয়ম-নীতিগুলা মেনে চলেন তাহলে আপনার ঘুম ইবাদতে পরিণত হয়ে যাবে। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমাদের কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় কাজ আছে যেগুলো আমাদের করা উচিত। প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নেই রাতে ঘুমানোর আগে যা যা করবেন।
 
  • রাতে দেরিতে না ঘুমানোঃরাসুল (সা.) এশার নামাজের পর গল্পগুজব ও গভীর রাত পর্যন্ত সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর তাগিদ দিতেন। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস : ৪৮৭৯)

  • একা একা ঘরে না ঘুমানোঃ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) কোনো ঘরে একাকী রাত যাপন ও একাকী সফর করতে নিষেধ করেছেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৫৬৫০)
  • ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমানোঃ আপনি ঘুমানোর আগে দেখে নিবেন আপনার দরজা ভালোভাবে লাগানো আছে কিনা। দরজা যদি খোলা থাকে তাহলে রাত্রে আপনার সমস্যা হতে পারে।
  • পবিত্র হয়ে ঘুমানোঃ রাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পবিত্র হয়ে ঘুমানো হচ্ছে সুন্নত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহতালাকে স্মরণ করে অজু করে শয়ন এবং রাতে জাগ্রত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দান করেন। (আবু দাউদ, হাদিসঃ ৫০৪২)
  • বিছানা ঝেড়ে নেওয়াঃ নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে বিছানার ওপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কি না। তারপর এই দোয়া পড়বে—হে আমার রব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠব। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩২০)
  • চোখে সুরমা লাগানোঃ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.)-এর একটি সুরমাদানি ছিল। প্রতি রাতে (ঘুমানোর আগে) তিনি ডান চোখে তিনবার এবং বাঁ চোখে তিনবার সুরমা লাগাতেন। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ৪১)। বিভিন্ন গবেষকদের মতো জানা গেছে সুরমা আমাদের চোখের সব ধরনের রোগ থেকে এবং জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সুরমা চোখে জ্বালাপোড়া ঠিক করতে সক্ষম।
  • ডান হাত হয়ে শোয়াঃ আমাদের ইসলামের শরীয়তের নিয়মে ডান জিনিসটাকে খুব প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাই ঘুমানোর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু নয়। আমাদের সকলের ঘুমানো কারণ ডান কাতে ঘুমালে আমাদের হৃদপিণ্ড, ফুসফুস , পাকস্থলী স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।
  • দোয়া পাঠ করাঃ রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার পর আল্লাহর নাম নেয় না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে লাঞ্ছনা নেমে আসবে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৫৬)। উপরের দেওয়া দোয়া গুলি আপনি পাঠ করতে পারেন।
  • সূরা ইখলাস , সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে শরীরে ফু দেওয়াঃ আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্র করে তাতে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর মাথা ও চেহারা থেকে শুরু করে যত দূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বোলাতেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
  • আয়াতুল কুরসী পাঠ করাঃ রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)
  • সুরা মুলক পড়াঃ রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআনের মধ্যে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১) রাসুল (সা.) এই সুরা না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯২)
  • সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়াঃ রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে, তবে এটিই তার জন্য যথেষ্ট। (বুখারি, হাদিস : ৫০৪০)

লেখকের মন্তব্য

ঘুম আমাদের সকলেরই প্রয়োজন। কোন একটি মানুষ যদি একদিন ঘুম না পারে তাহলে পরের দিন তার শরীর ঠিকমতো সচল থাকবে না। আমাদের মাঝে অনেকেরই আছে যাদের রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। তারা এই আর্টিকেল থেকে কিছু দোয়া যদি রাত্রে ঘুমানোর আগে পরে এবং সব নিয়ম মেনে চলে তাহলে তাদের রাতের ঘুম সঠিকভাবে হবে।

প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটিতে ঘুম না এলে যে দোয়াটি পড়বেন, রাতে ঘুমানোর দোয়া ও ফজিলত , ঘুম থেকে উঠার দোয়া, এবং রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যা যা করবেন তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url